আজকাল স্মার্টফোন ইউজারদের মধ্যে মোবাইলের স্ক্রিনে হঠাৎ করে সবুজ একটা লাইন দেখা দেওয়া, কিংবা স্ক্রিনে কোনো লেখা বা আইকনের হালকা স্পট সবসময় দেখতে পাওয়ার মতো ইস্যুগুলো বেশী দেখা যায়। সমস্যা হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষই এই দুইটি ইস্যুকে একই জিনিস মনে করেন। অনেকেই ফোনের স্ক্রিনে কিছু অস্বাভাবিক দেখলেই বলে ফেলেন, “স্ক্রিন বার্ন হয়ে গেছে”, আবার কেউ বলেন “গ্রীন লাইন পড়েছে”। কিন্তু বাস্তবে গ্রীন লাইন আর স্ক্রিন বার্ন এক জিনিস না, আর এই ভুল বোঝাবুঝির কারণেই অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আসুন এই দুটি সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
গ্রীন লাইন (Green Line) কী?
গ্রীন লাইন বলতে মূলত মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা দেওয়া একটি বা একাধিক সোজা সবুজ রঙের দাগকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত স্ক্রিনের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত বা এক পাশ থেকে আরেক পাশে লম্বালম্বিভাবে থাকে। এই লাইনটি কোনো লেখা, ছবি বা অ্যাপের সঙ্গে সম্পর্কিত না। মানে স্ক্রিনে যা-ই দেখান না কেন, লাইনটি একই জায়গায় স্থিরভাবে থেকে যায়। অনেক সময় ইউজাররা ভাবেন এটা কোনো অ্যাপের কারণে, কিন্তু বাস্তবে গ্রীন লাইন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিসপ্লে লেয়ার বা এর কানেক্টিভিটির সমস্যার কারনে হয়ে থাকে।
ভিজ্যুয়ালি গ্রীন লাইন সাধারণত খুব সোজা এবং শার্প হয়। শুরুতে এটি পাতলা একটি লাইন হিসেবে দেখা দিলেও সময়ের সাথে সাথে লাইনটি মোটা হতে পারে বা একই স্ক্রিনে একাধিক গ্রীন লাইন দেখা দিতে পারে। লাইনটি সাধারণত নড়াচড়া বা ফ্লিকার করে না এবং ব্রাইটনেস বাড়ানো–কমানোর পরও লাইনটির আলো একই ব্রাইটনেসে থাকে।
এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় AMOLED এবং OLED ডিসপ্লে ব্যবহার করা স্মার্টফোনগুলোতে। কারণ এই ধরনের ডিসপ্লেতে প্রতিটি পিক্সেল আলাদা আলাদা ভাবে লাইট দেয়, এবং কোনো নির্দিষ্ট পিক্সেল লাইন বা সাব-পিক্সেল ঠিকমতো কাজ না করলে পুরো লম্বালম্বি একটি লাইন দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। LCD ডিসপ্লেতেও লাইন সমস্যা হতে পারে, তবে সেখানে সাধারণত এই লাইনগুলোর কালার ভিন্ন হয় এবং গ্রীন লাইন সমস্যা তুলনামূলকভাবে কমই দেখা যায়।
স্ক্রিন বার্ন (Screen Burn / Burn-in) কী?
স্ক্রিন বার্ন, যাকে অনেকেই Burn-in বলে, আসলে এমন একটি কন্ডিশন যেখানে স্ক্রিনে আগে দেখানো কোনো কনটেন্টের হালকা স্পট স্থায়ীভাবে থেকে যায়। এটি কোনো সোজা লাইন বা রঙিন দাগ না, বরং পূর্বে ব্যবহার করা কোনো আইকন, লেখা, নেভিগেশন বাটন বা অ্যাপের আউটলাই সার্বক্ষণিক দেখা যায়। অর্থাৎ স্ক্রিনে কনটেন্ট পরিবর্তন করলেও পূর্বে থাকে অন্য কন্টেন্টের স্পটটা হালকা ভাবে চোখে পড়তেই থাকে। অনেক ইউজার প্রথমে এটাকে স্ক্রিন ডার্ট বা আলো ঠিকমতো পড়ছে না এমন কিছু মনে করেন, কিন্তু আসলে এটি ডিসপ্লের পিক্সেল ড্যামেজের ফল।
স্ক্রিন বার্ন সাধারণত তৈরি হয় তখনই, যখন স্ক্রিনের একটি নির্দিষ্ট অংশ দীর্ঘ সময় ধরে একই ধরনের কনটেন্ট দেখাতে থাকে। এতে ওই জায়গার পিক্সেলগুলো বেশি সময় আলো জ্বালিয়ে রাখে, ফলে আশপাশের পিক্সেলের তুলনায় দ্রুত ক্ষয় হতে শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে এই ক্ষয়ের কারণেই স্ক্রিনে পারমানেন্ট স্পট তৈরি হয়।
কিছু নির্দিষ্ট কনটেন্ট স্ক্রিন বার্নের ঝুঁকি অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। যেমনঃ দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্যাটিক UI থাকা অ্যাপ ব্যবহার, ম্যাপ অ্যাপের নেভিগেশন বার, গেমের কন্ট্রোল বাটন, সোশ্যাল মিডিয়ার টপ বা বটম বার। এছাড়াও Always-on Display চালু থাকলে স্ট্যাটাস বার আইকন, নেটওয়ার্ক সিগন্যাল বা ব্যাটারি পারসেন্টেজও দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকলে স্ক্রিন বার্ন তৈরি করতে পারে।
ডিসপ্লে টাইপের দিক থেকে দেখলে, AMOLED বা OLED স্ক্রিনে স্ক্রিন বার্ন হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। কারণ এই ডিসপ্লেতে প্রতিটি পিক্সেল নিজে লাইটিং করে, ফলে বেশি ব্যবহৃত পিক্সেল দ্রুত ড্যামেজ হতে থাকে। অন্যদিকে LCD ডিসপ্লেতে সাধারণত permanent burn-in হয় না, বরং সেখানে image retention দেখা যায়, যা অনেক সময় স্ক্রিন বন্ধ করলে বা কিছুক্ষণ ভিন্ন কনটেন্ট দেখালে ঠিক হয়ে যায়।
গ্রীন লাইন বনাম স্ক্রিন বার্ন – পার্থক্য কী?
যদিও গ্রীন লাইন আর স্ক্রিন বার্ন আলাদা করা কঠিন কিছু না, তাও নিচের চার্টটা দেখলে পার্থক্যটা বুঝা একদম সহজ হয়ে যাবে।
| গ্রীন লাইন | স্ক্রিন বার্ন |
| এটি দেখতে সোজা সবুজ রঙের লাইন, সাধারণত ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত। | আগের কনটেন্টের হালকা স্পট (আইকন, লেখা, বাটন) দেখা যায়। |
| ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করলে লাইন একই রকম স্পষ্ট থাকে। | ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করলে হালকা বা গাঢ় হতে পারে, কিন্তু থাকে। |
| বেশিরভাগ সময় হার্ডওয়্যার ইস্যু। | পুরোপুরি পিক্সেল ড্যামেজ (হার্ডওয়্যার)। |
| হালকা লাইন দিয়ে শুরু। | হালকা স্পট দিয়ে শুরু। |
| সময়ের সাথে সাথে লাইন মোটা হয় বা একাধিক লাইন দেখা যায়। | ধীরে ধীরে স্পট আরও ক্লিয়ার দেখা দিতে থাকে। |
| খুব কম ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে সফটওয়্যার দিয়ে ঠিক হয়। | সফটওয়্যার দিয়ে স্ক্রিন বার্ন ইস্যু ঠিক হয় না। |
| কিছু ক্ষেত্রে স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট ছাড়া সমাধান সম্ভব। | স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট ছাড়া সমাধান অসম্ভব। |
এই চার্ট থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, গ্রীন লাইন আর স্ক্রিন বার্ন এক জিনিস না, আর এর সমাধানও এক না। তাই আপনাকে আগে সমস্যাটা ধরতে হবে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ফোনের সমস্যাটা কোথায়?
গ্রীন লাইন নাকি স্ক্রিন বার্ন- এই কনফিউশনটা দূর করতে আপনি ঘরে বসেই কিছু সহজ টেস্ট করতে পারেন। এগুলো করতে কোনো অ্যাপ বা টুলস দরকার নেই, শুধু একটু খেয়াল করে দেখলেই বেশিরভাগ সময় সমস্যাগুলো বোঝা যায়।
স্ক্রিনশট টেস্ট
এটাই সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর টেস্ট। স্ক্রিনে সমস্যা দেখা দেওয়ার সময় একটি স্ক্রিনশট নিন। এরপর সেই স্ক্রিনশটটি অন্য ফোনে পাঠিয়ে দেখুন, অথবা নিজের ফোনেই গ্যালারি থেকে খুলে দেখুন। যদি ছবির মধ্যে সেই গ্রীন লাইন বা দাগটি না থাকে, তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় এটি হার্ডওয়্যার রিলেটেড সমস্যা। কারণ স্ক্রিনশট সফটওয়্যার লেভেলে নেওয়া হয়, সেখানে স্ক্রিন প্যানেলের সমস্যা ধরা পড়ে না। একইভাবে স্ক্রিনশটে যদি আগের কনটেন্টের স্পট না থাকে, তাহলে সেটিও স্ক্রিন বার্নের দিকেই ইঙ্গিত করে।
Safe Mode চেক
Safe Mode-এ ফোন চালু করলে সব থার্ড পার্টি অ্যাপ বন্ধ থাকে। এতে বোঝা যায় সমস্যাটা কোনো অ্যাপ বা সফটওয়্যার গ্লিচের কারণে হচ্ছে কি না। ফোন Safe Mode-এ নেওয়ার পর যদি স্ক্রিনে একইভাবে গ্রীন লাইন বা স্পট দেখা যায়, তাহলে এটি প্রায় নিশ্চিতভাবে হার্ডওয়্যার ইস্যু। আর যদি Safe Mode-এ সমস্যা না থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় কোনো অ্যাপ বা গ্রাফিক রেন্ডারিং ইস্যু থেকে সাময়িক এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
কালার চেঞ্জ টেস্ট (White / Black Background)
এই টেস্টটা স্ক্রিন বার্ন শনাক্ত করতে খুব কাজে আসে। ফোনের ডিসপ্লেতে একেবারে সাদা, কালো, লাল বা ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ড আনুন। স্ক্রিন বার্ন হলে বিভিন্ন রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডে আগের কনটেন্টের স্পট আলাদা ভাবে চোখে পড়বে। একইভাবে গ্রীন লাইনের ক্ষেত্রেও, ব্যাকগ্রাউন্ড যাই হোক না কেন প্রায় সব রঙেই একই জায়গায় একইভাবে গ্রীন লাইন দেখা যাবে।
Brightness কম-বেশি করে দেখুন
ব্রাইটনেস বাড়ানো বা কমালে সমস্যা কীভাবে রিঅ্যাক্ট করছে, সেটাও একটি ভালো ইন্ডিকেটর। গ্রীন লাইনের ক্ষেত্রে ব্রাইটনেস পরিবর্তন করলেও লাইনটি সাধারণত একইভাবে স্পষ্ট থাকে। কিন্তু স্ক্রিন বার্ন হলে ব্রাইটনেস কমালে অনেক সময় ছাপটা একটু কম চোখে পড়ে, আর ব্রাইটনেস বাড়ালে আবার বেশি বোঝা যায়।
এই টেস্টগুলো করার পরও যদি আপনি নিশ্চিত না হতে পারেন, তাহলে অনুমাননির্ভর সিদ্ধান্ত না নিয়ে একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের কাছে ফোনটি দেখানোই সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ শুরুতেই সমস্যা ধরতে পারলে সমাধানও বেশ সহজ হয়ে যায়।
গ্রীন লাইন হওয়ার প্রধান কারণ
- হার্ডওয়্যার ড্যামেজঃ গ্রীন লাইনের সবচেয়ে কমন কারণ হলো হার্ডওয়্যার ড্যামেজ।
- ওভার হিটিংঃ লং সেশনে গেম খেলা বা হেভী অ্যাপ ইউজের ফলে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে AMOLED ডিসপ্লের পিক্সেল লাইন ড্যামেজ হয়ে গ্রিন লাইন তৈরি হতে পারে।
- চার্জিং ইস্যুঃ নন-অথরাইজড চার্জার বা ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের কারণে ডিসপ্লে সার্কিটের প্রভাবে গ্রীন লাইন আসতে পারে।
- সফটওয়্যার আপডেট বাগঃ কিছু ক্ষেত্রে নতুন সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করার পর স্ক্রিনে গ্রীন লাইন দেখা দিতে পারে।
স্ক্রিন বার্ন হওয়ার প্রধান কারণ
- দীর্ঘসময় Static Image: স্ক্রিন বার্নের সবচেয়ে বড় কারণ হলো দীর্ঘ সময় ধরে একই কনটেন্ট স্ক্রিনের একই জায়গায় শো করানো।
- High Brightness: সবসময় হাই ব্রাইটনেসে ফোন ব্যবহার করলে AMOLED পিক্সেলগুলো স্ক্রিন বার্ন তৈরি করতে পারে।
- Always-on Display: Always-on Display ফিচার বিভিন্ন আইকন একই জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে রাখে যা স্ক্রিন বার্নের কারন।
- Gaming বা ভিডিও pause করে রাখাঃ দীর্ঘ সময় গেম খেলার সময় কন্ট্রোল বাটন বা HUD এলিমেন্ট, কিংবা ভিডিও pause করে একই ফ্রেমে রেখে দেওয়া হলে স্ক্রিন বার্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গ্রীন লাইন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান
গ্রীন লাইন সমস্যার শুরুতে কিছু সফটওয়্যার-লেভেল ট্রাবলশুটিং করা যায়, যদিও এগুলো সব ক্ষেত্রে কার্যকর হয় না। এক্ষেত্রে প্রথমেই ডিভাইসটি রিস্টার্ট করে GPU রেন্ডারিং রিফ্রেশ করুন। এরপর Settings থেকে Display calibration, color profile বা refresh rate (যেমন 120Hz থেকে 60Hz) ঞ্চেঞ্জ করে দেখুন। অনেক সময় firmware update বা display driver patch থাকলে সেটি ইনস্টল করলেও গ্রাফিক গ্লিচ ঠিক হয়ে যায়। এছাড়া Safe Mode-এ চালিয়ে থার্ড পার্টি অ্যাপের interference আছে কি না সেটিও চেক করে দেখতে পারেন।
তবে যদি গ্রীন লাইন হার্ডওয়্যার লেভেলের ইস্যু থেকে AMOLED/OLED প্যানেলের pixel column বা sub-pixel matrix স্থায়ীভাবে ড্যামেজের কারণে হয়, তাহলে এই অবস্থায় সফটওয়্যার দিয়ে ঠিক করা সম্ভব না। তখন স্থায়ী সমাধান হিসেবে পুরো ডিসপ্লে রিপ্লেসই একমাত্র কার্যকর অপশন।
কিছু ক্ষেত্রে যদি দেখেন স্ক্রিনে হালকা চাপ পড়লে লাইনের ইন্টেনসিটি পরিবর্তন হয়। এতে ধারণা করা যায়, ডিসপ্লে ফ্লেক্স কেবল, connector pin বা display interface (MIPI) লুজ অথবা অক্সিডাইজড হয়েছে। এ ধরনের সমস্যায় পুরো স্ক্রিন রিপ্লেস না করে re-seat, flex replacement বা connector cleaning করলেই সমাধান পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি নিশ্চিত করতে অবশ্যই প্রফেশনাল ডায়াগনসিস প্রয়োজন।
স্ক্রিন বার্ন সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান
স্ক্রিন বার্ন পুরোপুরি ঠিক করা সম্ভব না হলেও কিছু ক্ষেত্রে এর ভিজ্যুয়াল ইন্টেনসিটি কমানো যায়। Pixel refresh বা burn-in compensation টাইপ টুল কিছু AMOLED ডিসপ্লেতে কাজ করতে পারে। এখানে মূলত কালার ফ্ল্যাশিং দিয়ে পিক্সেল degradation ব্যালেন্স করার চেষ্টা করা হয়। তবে এগুলো কোনো সমস্যার সমাধান না, শুধুমাত্র appearance কিছুটা improve করে।
তাই পারমানেন্ট সলিউশনের কথা বলতে গেলে এখানে কার্যকরভাবে একটাই উপায়, আর তা হলো ডিসপ্লে প্যানেল রিপ্লেসমেন্ট। কারণ একবার পিক্সেলের emissive material নষ্ট হয়ে গেলে সেটি সফটওয়্যার দিয়ে রিস্টোর করা যায় না।
Apple Gadget Care-এ আমাদের অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানরা উন্নত ডায়াগনসিস টুল ব্যবহার করে ফোনের গ্রীন লাইন বা স্ক্রিন বার্ন সমস্যার মূল কারণ শনাক্ত করেন। সফটওয়্যার বেসড ট্রাবলশুটিং থেকে শুরু করে ফ্লেক্স রিপ্লেস, স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট পর্যন্ত সব ধরনের সমাধান প্রফেশনাল কেয়ার সহ দেওয়া হয়। আপনার iPhone ডিভাইসের ডিসপ্লে সমস্যা আমরা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যভাবে সমাধান করি।
আজই যোগাযোগ করতে ভিজিট করুন www.applegadgetscare.com | অথবা সরাসরি কল করুনঃ 09678149149
উপসংহার
সবশেষে একটা কথা পরিষ্কার যে, গ্রীন লাইন আর স্ক্রিন বার্ন এক জিনিস না। দুটো সমস্যাকে এক করে ভাবলে ভুল হবে। আশা করি এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা বুঝবেন কখন নিজেই সহজ কিছু টেস্ট করে প্রাথমিকভাবে সমস্যা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারবেন আর কখন প্রফেশনাল টেকনিশিয়ানের কাছে যেতে হবে।
স্ক্রিনে অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই আতঙ্কিত না হয়ে আগে বুঝুন- এটা গ্রীন লাইন, নাকি স্ক্রিন বার্ন। মনে রাখবেন, সময়মতো সঠিক ডায়াগনসিস আর নির্ভরযোগ্য সমাধানই আপনার ফোনের পারফরম্যান্স ঠিক রাখবে এবং আপনাকে অপ্রয়োজনীয় খরচ থেকে বাঁচাবে।

Borhan Uddin Alif is a writer with 3 years of experience, focusing on technology, marketing, and storytelling, and enjoys exploring various niches and topics.

