স্মার্টফোন চালাতে গিয়ে আমরা অনেক অনেক ফিচার এক্সপ্লোর করে থাকি, তবে কিছু ফিচার আছে যা আমাদের জন্য লাইফসেভার। যে অপশন গুলো আমাদের স্মার্টফোনের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কে আরো বেশি সহজ করে দেয়।
আজকে আমরা এমন কিছু অ্যান্ড্রয়েড ট্রিকস / গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস সম্পর্কে জানবো যা আপনাকে অন্য লেভেলের স্মার্টফোন চালানোর এক্সপেরিয়েন্স দিবে ।
৫টি অসাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ট্রিকস
১। USB Tethering
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের হিডেন কিছু টিপসের মধ্যে এটা অন্যতম। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বাসায় WiFi বা Cable ইন্টারনেট সংযোগ থাকেনা।
সেক্ষেত্রে আমরা ল্যাপটপে কিংবা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারিনা। তবে এই ফিচারটির সম্পর্কে যদি আপনি জানেন সেক্ষেত্রে ফোনের ডাটা ব্যবহার করেই আপনার গুরত্বপূর্ণ কাজগুলো সেরে নিতে পারবেন।
USB Tethering চালু করতে, এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন:
একটি USB কেবল ব্যবহার করে আপনার ফোনটিকে আপনার ল্যাপটপ বা অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ করুন:
- ফোনের Settings এ প্রবেশ করুন
- Network & Internet অপশনে যান
- Mobile Hotspot /Tethering অপশনে প্রবেশ করুন
- USB Tethering চালু করুন।
আপনার ডিভাইসে, নোটিফিকেশন বারে একটি অপশন দেখতে পারবেন, সেখানে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বা সংযুক্ত ডিভাইসের জন্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ট্যাপ করুন।
ব্যাস, এভাবেই আপনি খুব সহজে ফোনে্র সাহায্যে ডেস্কটপে / ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
২। Mobile Data Saver
অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফোনে ইন্টারনেট এর জন্য মোবাইল ডেটা ব্যবহার করেন। তবে কিছু সময় দেখা যায় ফোনে প্রয়োজনের চেয়েও অতিরিক্ত ডেটা ব্যবহার হচ্ছে। তবে কিছু সেটিংস পরিবর্তন করলে আপনি খুব সহজেই আপনার অতিরিক্ত ডেটা ব্যবহার কমাতে পারবেন।
ডেটা সেভার চালু করার জন্য:
- ফোনের Settings এ প্রবেশ করুন
- Network & Internet অপশনে যান
- মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ডেটা ব্যবহার’তে যান
- Data Saver চালু করুন
তবে, ডেটা সেভার চালু করলে কিছু অ্যাপ্লিকেশন সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে কোনও অ্যাপ বা ফাংশন সঠিকভাবে কাজ করছে না, তাহলে আপনাকে সেই অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ডেটা সেভার অ্যাক্সেস চালু করতে হতে পারে। যার ফলে খুব সহজেই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পেলে অ্যাপ্লিকেশনের গুলো কাজ করবে।
৩। Notification History
অনেক সময় দেখা যায় আমরা আমাদের ফোনের নোটিফিকেশন প্যানেল থেকে গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশন ক্লিয়ার করে ফেলি অথবা ভুলবশত ক্লিয়ার করা যেকোনো নোটিফিকেশন আমাদের প্রয়োজনে আসতে পারে কিন্তু আমরা সেটি খুঁজে পাই না।
তবে আজকে আমরা এমন একটি সেটিং এর কথা বলবো যা দিয়ে আমরা ফোনের হারিয়ে যাওয়া নোটিফিকেশন হিস্ট্রি খুব সহজেই খুঁজে পাবো।
নোটিফিকেশন হিস্ট্রি চালু করার জন্য:
- ফোনের Settings এ প্রবেশ করুন
- সেটিং থেকে Notification অপশনে প্রবেশ করুন
- “Notification History” অপশনে প্রবেশ করুন অথবা মোর অপশনে প্রবেশ করুন
- সেখানে থেকে Notification History অপশনটি অন করে দিন
- এই অপশনে প্রবেশ করলেই বিগত সব Notification History দেখা যাবে
তবে নোটিফিকেশন হিস্ট্রি এই অপশনটি আলাদা ফোনে আলাদা রকম ভাবে থাকতে পারে। আপনি খুব সহজে খুঁজে পেতে সেটিং থেকে সরাসরি সার্চ করে খুঁজে নিতে পারেন।
৪। Overnight Charging Protection
অনেক সময় সারাদিন কাজ করে বাসায় আসার পর আমরা ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পরি, কিংবা সকালে জরুরি কাজে বের হতে হবে এমন চিন্তা করে রাতে ফোনটি চার্জে রেখেই ঘুমিয়ে যাই। সেক্ষেত্রে সারারাত ফোনটি চার্জিং অবস্থায় থাকে।
অনেক সময় এইসব কারণে ফোনের ব্যাটারির লাইফস্প্যান কমে যায়। তবে অত্যাধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে এই সমস্যার একটা সমাধান রয়েছে যা Overnight Charging Protection নামে পরিচিত। কিছু ফোনে ডিফল্ট ভাবেই এই অপশনটি অন থাকে আবার কিছু ফোনে প্রয়োজনে অন করে নেয়া যায়।
Overnight Charging Protection চালু করার জন্য:
- ফোনের Settings এ প্রবেশ করুন
- সেটিং থেকে Battery অপশনে প্রবেশ করুন
- “Battery” অপশনে প্রবেশ করার পর সেখানে Overnight Charging Protection / Optimize charging অপশনটি অন করে দিন।
এই অপশনটি অন থাকার ফলে রাতে ফোন খুব স্লো চার্জ হবে, যার ফলে আপনার ব্যাটারি থাকবে সুরক্ষিত। কিংবা ফোনের ব্যাটারি ফুল চার্জ হবার পর ব্যাটারি আর কোনো চার্জ নিবেনা।
৫. Nearby Share
আগে আমাদের ফোন থেকে যেকোনো ফাইল, ছবি, ভিডিও শেয়ার করা ছিল একটি প্যারাদায়ক বিষয়। তবে, এখন সব ফোনেই একটা হিডেন সেটিং রয়েছে যার ফলে কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াই খুব সহজে শেয়ার করা সম্ভব। End to End encryption এর মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করার কারণে ইউজার এর ডেটা থাকবে একদম সুরক্ষিত।
Nearby Share চালু করতে:
- ফোনের সেটিংস এ প্রবেশ করুন
- Google Option থেকে Device & Sharing এ যান
- Nearby Share নির্বাচন করুন
- Nearby Share চালু করুন টগল চালু করুনক
- এরপর আপনার নিজের মত সেটিং গুলো টগোল করে নি
Nearby Share ব্যবহার করার করার ফলে আপনি খুব সহজেই ফাইল ট্রান্সফার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি একবারে সর্বোচ্চ ৫০০টি ফাইল শেয়ার করতে পারবেন।
আপনার ফোনের গ্যালারি থেকে ছবি সিলেক্ট করে শেয়ার করে অপশন থেকে নেয়ারবাই শেয়ারে গেলেই ফাইলগুলো শেয়ার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে দুইটি ডিভাইসেই Nearby Share অন করে নিতে হবে।
ব্লগটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং এমন সব নিত্যনতুন টিপস এবং ট্রিকস সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।