স্মার্টফোনের ডিসপ্লের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিং

ফোনের ডিসপ্লের গুরুত্বপূর্ণ সেটিং

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোন এতটাই জড়িত হয়ে পড়েছে যে, এর ডিসপ্লের কোয়ালিটি আমাদের ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে অনেকটাই প্রভাবিত করে। একটি ভালো সেটিং করা ডিসপ্লের মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনকে আরও সুন্দর ভাবে এক্সপেরিয়েন্স করতে পারবেন এবং চোখের জন্য আরামদায়ক করতে পারবেন। যদি ডিসপ্লে সেটিংস গুলো ঠিকঠাক মত করে করা যায় আমরা একটা ভালো আউটপুট পাবো। আজকের ব্লগে আমরা শেয়ার করবো ডিসপ্লের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিং এবং টিপস। 

ডিসপ্লে ব্রাইটনেস :

  • অটো ব্রাইটনেস: ব্যাটারি ব্যাকাপ ভালো রাখতে এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণে  ব্রাইটনেস রাখতে এই ফিচারটি আপনারা ব্যবহার করতে পারেন, সেটিংস থেকে টি অন করার পর এই ফিচারটি আপনার পরিবেশের আলোর পরিমাণের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করে। যেমন সূর্যের আলোর নিচে এটি আপনাকে হাই ব্রাইটনেস দিবে ফলে আপনি ঠিক মত দেখতে পারবেন এবং অন্ধকার জায়গাতে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রাইটনেস কমিয়ে দিবে তখন আপনি ব্যাটারি সেভ করতে পারবেন।
  • ম্যানুয়াল ব্রাইটনেস: আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা নিজেও সেট করতে পারেন। তবে আইডিয়াল ব্রাইটনেস এর জন্য সবসময় ৫০-৬০% এ রাখা ভালো, অতিরিক্ত ব্রাইটনেস ফোনে যেমন চাপ সৃষ্টি করে তেমনি ব্যাটারি খরচ করে। 

কনট্রাস্ট: কনট্রাস্ট বাড়িয়ে আপনি ছবি এবং ভিডিও আরও স্পষ্ট দেখতে পাবেন। সো আপনি যদি বেশি কন্টেন্ট উপভোগ করে থাকেন সেক্ষেত্রে ডিসপ্লে কনট্রাস্ট বাড়িয়ে নিন।

ডিসপ্লে কালার:

  • কালার টেম্পারেচার: আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ডিসপ্লের কালার টেম্পারেচার ওয়ার্ম বা কুল করতে পারেন। যার ফলে ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স পাবেন আগের থেকে আরো ভালো।
  • কালার মোড: অনেক ফোনে বিভিন্ন ধরনের কালার মোড থাকে, যেমন স্ট্যান্ডার্ড, ভিভিড, সিনেমা ইত্যাদি। আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী আপনি কালার মোড সেট করে নিতে পারেন।

ফন্ট এবং টেক্সট আকার: আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফন্টের আকার এবং ধরন পরিবর্তন করে পড়া আরও সহজ করতে পারেন। ফন্ট এবং টেক্সট সাইজ ঠিক করে নিলে আপনি আরো বেটার ভাবে ফোন অপারেট করতে পারবেন। টেক্সট ছোট থাকলে পড়তে অসুবিধা হয়, তাই প্রয়োজন মত সেটিংস করে নিন। 

স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট: এখনকার বেশিরভাগ ফোনেই হায়ার রিফ্রেসরেট সাপোর্ট করে, এটি ফোনের ডিসপ্লের স্মুথনেস বাড়ায়। ব্রাউজিং, গেমিং কিংবা কন্টেন্ট ওয়াচিং এর সময় যদি রিফ্রেস রেট বেশি থাকে তবে সেটি দেখতেও আরো বেশি ভালো লাগে। এবং স্মুথনেস এর কারণে ফোন অনেক ফাস্ট মনে হয়। আপনার ফোনে যদি এই ফিচারটি থাকে তবে অন করে নিন। 

ব্লু  লাইট ফিল্টার : রাতে যারা ফোন বেশি ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য সব ফোনেই ব্লু  লাইট ফিল্টার মোড রয়েছে। ব্লু  লাইট ফিল্টার বা নাইট মোড ব্যবহার করে রাতে ফোন ব্যবহার করার সময় চোখের উপর চাপ কমাতে পারেন। সেক্ষেত্রে লম্বা সময় ধরে ফোন ব্যবহার করলেও চোখের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। 

অ্যামোলেড ডিসপ্লের ক্ষেত্রে নিয়মিত খেয়াল রাখুন: বর্তমানে অ্যামোলেড ডিসপ্লে গুলিতে অনেক সমস্যা দেখা যায়। দীর্ঘদিন একই ওয়ালপেপার ব্যবহার করার ফলে ডিসপ্লে বার্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চেষ্টা করবেন মাঝে মাঝে ওয়ালপেপার এবং আইকনগুলো রিপ্লেস করার। সেক্ষেত্রে ডিসপ্লে বার্ন হওয়া থেকে অনেক ক্ষেত্রেই করা করা সম্ভব। এবং খেয়াল রাখুন যেন ডিসপ্লেতে অতিরিক্ত চাপ না পরে। 

সফটওয়্যার আপডেটগুলিতে আপ-টু-ডেট থাকুন: ফোন কোম্পানিগুলো প্রায়শই সফটওয়্যার আপডেট দিয়ে থাকে যা ডিসপ্লে সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে। তাই, আপনার ফোনের জন্য সর্বশেষ আপডেটগুলি ইনস্টল করা নিশ্চিত করুন। 

ফোনের ডিসপ্লের সেটিং আপনার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে অনেকটাই প্রভাবিত করে। উপরের তথ্যগুলো মেনে চলে আপনি আপনার ফোনকে আরও ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং চোখের জন্য আরামদায়ক করতে পারেন। এই আর্টিকেলে আমরা বেশ কিছু প্রয়োজনীয় টিপস শেয়ার করেছি। 

Chat with us